۱۱ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۱ شوال ۱۴۴۵ | Apr 30, 2024
ইমাম আলী ইবনুল হুসাইন যাইনুল আবিদীনের ( আঃ )
ইমাম আলী ইবনুল হুসাইন যাইনুল আবিদীনের ( আঃ )

হাওজা / হযরত ইমাম আলী ইবনুল হুসাইন ( আঃ ) ৩৮ হিজরীর ৫ শাবান মতান্তরে ৩৬ হিজরীর ১৫ জুমাদাল উলা জন্ম গ্রহণ করেন ।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী,  পর্ব ১০- মুহাম্মাদ ইবনে মুসলিম ইবনে শিহাব যুহরী বলেনঃ দামেশকে হযরত আনাস ইবনে মালেকের কাছে গেলাম । দেখলাম যে তিনি একাকী বসে কাঁদছেন । আমি যখন তাঁকে তার কাঁদার কারণ জিজ্ঞেস করলাম তখন তিনি উ্ত্তর দিলেনঃ ইসলাম ধর্ম থেকে যা কিছু শিখেছিলাম নামায ছাড়া সেগুলোর আর কিছু বিদ্যমান আছে বলে আমারজানা নেই । আর এ নামাযটাও হারিয়ে গেছে ।

     হযরত আনাসের অল্প কিছুকাল পরে হাসান বসরী বলতেনঃ রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) যদি তোমাদের মাঝে আবার ফিরে আসেন ( রাজআত করেন ) তোমাদেরকে যা যা তিনি শিখিয়েছিলেন সেগুলোর মধ্যে কেবল তোমাদের কিবলা ব্যতীত তিনি আর কোনো কিছু চিনবেন না । ( আহমাদ আমীন , দুহাল ইসলাম , ৭ম সংস্করণ , কায়রো , মাকতাবাতুন নাহদা আল-মিসরীয়াহ , খঃ ১ , পৃঃ ৫৭ )

     কী ভয়ঙ্কর অবস্থার উদ্ভব হয়েছিল তখন বনী উমাইয়ার কালা কুশাসনে ! আর এ কারণেই মহানবী ( সাঃ ) একদল কুরাইশ বংশীয় অল্প বয়স্ক যুবকদের হাতে তাঁর উম্মতের ধ্বংস হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যাতে সবাই সতর্ক হয় । কিন্তু উম্মাহ যে সতর্ক ও সাবধান হয় নি তা উপরিউক্ত কতিপয় বিবরণ থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে । সহীহ বুখারীর নিম্নোক্ত এ হাদীসটি প্রণিধানযোগ্যঃ

      আমর ইবনে ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ ইবনে আমর ইবনে সাঈদ বলেনঃ আমার দাদা ( সাঈদ ইবনে আমর ইবনে সাঈদ ) আমাকে জানিয়েছেনঃ মদীনার মসজিদে নবীবীতে আমি আবূ হুরাইরার সাথে উপবিষ্ট ছিলাম এবং আমাদের সাথে মারওয়ানও ছিল । আবূ হুরাইরা তখন বললেনঃ আমি সাদিক মাসদূককে ( পরম সত্যবাদী রাসূল যার কথা বিশ্বাস করা হয় ) বলতে শুনেছিঃ কুরাইশ বংশীয় কতিপয় অল্প বয়স্ক যুবকের হাতে আমার উম্মতের ধ্বংস ( হবে )। তখন মারওয়ান বললঃ ঐ সব অল্প বয়স্ক যুবকের উপর আল্লাহর লানত ( অভিশাপ ) । অতঃপর আবূ হুরায়রা বললেনঃ তারা যে অমুকের সন্তান অমুকের সন্তান তা যদি আমি বলেত চাইতাম তাহলে আমি তা করতাম । অতঃপর মারওয়ানের সন্তানগণ যখন শামের অধিপতি হয় ( রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লাভ করে ) তখন আমি আমার দাদার সাথে তাদের ( বনী মারওয়ান বা মারওয়ানের সন্তানগণ ) কাছে গমন করতাম । অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে অল্প বয়স্ক তরুণ যুবক দেখতে পেলেন তখন তিনি আমাদেরকে বললেনঃ খুব সম্ভবতঃ আশা করা যায় যে এরাই তাদের ( অল্প বয়স্ক যুবকগণ যাদের হাতে উম্মাহর ধ্বংস হবে তাদের ) অন্তর্ভুক্ত হবে । তখন আমরা বললামঃ আপনি ভালো জানেন । ( দ্রঃ সহীহ বুখারী , কিতাবুল ফিতান , হাদীস নং ৭০৫৮ , পৃঃ ১৭৭৪ – ১৭৭৫ )

   যে আবূ সুফিয়ান আল্লাহর দুশমন ( আদূওয়াউল্লাহ ) , যে মুয়াবিয়া ইবনে আবূ সুফিয়ান জাহান্নামের দিকে আহবানকারী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা যারা সাহাবী আম্মার ইবনে ইয়াসিরের ঘাতক , যে ইয়াযীদ ইবনে মুয়াবিয়া নবী দৌহিত্র বেহেশতের যুবকদের নেতা ইমাম হুসাইনের হত্যাকারী , মদীনা লুন্ঠনকরে মদীনায় গণহত্যাকারী এবং মক্কা আক্রমণ করে কাবা ও মসজিদুল হারামে অগ্নিসংযোগকারী , যে মারওয়ান ইবনে হাকাম রাসূলুল্লাহ কর্তৃক অভিশপ্ত ও বিতাড়িত নির্বাসিত , যে আব্দুল মালেক ইবনে মারওয়ান লক্ষাধিক জনতা হত্যাকারী , পবিত্র মক্কা আ্ক্রমণ করে কাবা ও মসজিদুল হারামে অগ্নিগোলা নিক্ষেপকারী এবং হারাম শরীফে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তারা এবং আব্দুল মালেকের পরবর্তী উমাইয়া মারওয়ানী খলীফারা সবাই ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ ধ্বংস সাধনে আত্মনিয়োগ করেছিল । আর মহানবীর আহলুল বাইতের পবিত্র ইমামগণ বিশেয করে ইমাম যাইনুল আবিদীন ( আঃ ) পিতা ইমাম হুসাইনের ( আঃ ) শাহাদতের পর সেই কঠিন ভয়ঙ্কর শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে ইসলামের চির শত্রু বনী উমাইয়া খিলাফত ও প্রশাসনের সকল ষড়যন্ত্র থেকে ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম উম্মাহকে সংরক্ষণের দায়িত্ব যথার্থ ভাবে পালন করেন । তিনি এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যা আমরা আমাদের এ আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ ।

    ২৫ মুহাররম ইমাম আলী ইবনুল হুসাইন যাইনুল আবিদীনের শাহাদতে সবাইকে জানাই আন্তরিক শোক ও তাসলিয়াত । মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে ইখলাসের সাথে আহলুল বাইতের ( আঃ )  অনুসরণ করার তৌফীক দিন । সমাপ্ত

লেখা: মুহাম্মাদ মুনীর হুসাইন খান

 

দ্রষ্টব্য: হাওজা নিউজে প্রকাশিত সমস্ত নিবন্ধ লেখকদের ব্যক্তিগত মতামতের উপর ভিত্তি করে। হওজা নিউজের নীতি লেখকের মতামতের সাথে একমত হওয়া জরুরী নয়। 

تبصرہ ارسال

You are replying to: .